
বাসাইল সংবাদ: শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী পরীক্ষার শিক্ষার্থীরা আগের বছরের চেয়ে খারাপ ফলাফল করার প্রেক্ষিতে শিক্ষার গুণগত মানের দিকে নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই দুই পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন গণভবনে উপস্থিত শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের এই তাগাদা দেন প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছর পঞ্চম শ্রেণি সাময়িকীতে পাসের হার আগের বছরের চেয়ে তিন শতাংশ এবং অষ্টম শ্রেণি সমাপনীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
জেএসসি ও জেডিসিতে এবার পাস করেছে ৮৩. ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন পেয়েছে জিপিএ ফাইভ।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে ৯৩.০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন জিপিএ ফাইভ পায়।
এবার প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫.১৮, যা গতবার ছিল ৯৮.৫১ শতাংশ।অন্যদিকে ইবতেদায়িতে এবার পাসের হার ৯২.৯৪ শতাংশ। গতবার ছিল ৯৫.৮৫ শতাংশ।
দুটি পরীক্ষার ফলই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়। আর পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে সেখানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা, এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।’
স্কুলে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেও জোর দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠক্রম পরিবর্তনের তাগিদ দেন তিনি। বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এটা জরুরি।
এ সময় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান ফিজার, শিক্ষা সচিবও উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাতেও পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ পাওয়ার সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে কমেছিল।
দুটি পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী খাতা দেখায় কড়াকড়ির কথা জানিয়েছিলেন।
এবারও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক খারাপ ফলাফলের জন্য নজরদারি বাড়ানো এবং খাতা দেখায় কড়াকড়ির বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
‘এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে, সে কারণে হয়ত একটু কম। আশাকরি ভবিষ্যতে যেন বাড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী বরাবর মনে করেন, শিক্ষার্থীদের ফেল করার কারণ নেই। আজও তিনি এই কথাটাই তুলে ধরেন। বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে,তারা ফেল করবে কেন? তাদের মেধা আছে।’
এর আগে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফল গ্রহণ করেও প্রধানমন্ত্রী যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় জোর দেয়ার পরামর্শ দেন।
এ সময় তিনি প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, এই পরীক্ষা দেয়ায় শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। তা ছাড়া এর আগে পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণি শেষে নির্বাচিতরা কেবল বৃত্তি পরীক্ষা দিত, এখন সবাই এই পরীক্ষা দেয়।
সূত্র-ঢাকাটাইমস
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন