
বাসাইলসংবাদ: বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮:

বাসাইলসংবাদ ডেস্ক :
মঙ্গলবার বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে স্বস্তির জয় পায় ব্রাজিল। চার বছর আগে এই জার্মানির কাছে গোল খেয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ব্রাজিল। যার কারণে জার্মানির বিপক্ষে এই জয় দলের আত্মবিশ্বাসকে আরো শক্ত করে তুললো। এদিন জার্মানিকে ১-০ ব্যবধানে হারায় তিতের শীর্ষরা।
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে চার বছর আগের সেই পরাজয় ভূতের মতো তাড়া করছিলো পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সেই হারের ক্ষত শুকাতেই এতোদিন মরিয়া ছিলো ব্রাজিল। কিন্তু গত চার বছরের মধ্যে সেই সুযোগ আর হয়ে উঠেনি। গত বিশ্বকাপের পরে এটাই ছিলো জার্মানির সঙ্গে ব্রাজিলের প্রথম দেখা। হয়তো প্রীতি ম্যাচ বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নয়। তবে বিশ্বকাপের আগে দলের এমন জয় তো অবশ্যই স্বস্তির নেইমার সতীর্থদের কাছে। চার বছরের পরাজয়ের ভূতকে তাড়াতে সফল হলো তিতের ছাত্ররা।
প্রথম প্রীতি ম্যাচে রাশিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করে ব্রাজিল। সেই জয়ের পরের দ্বিতীয় ম্যাচেরও জয়ের গতি ধরে রাখলো ব্রাজিল। অপরদিকে গত শুক্রবার স্পেনের সঙ্গে ড্র করছিল জার্মানি। চারদিন পরে আবারও হেরে অনেকটা হতাশায় পড়ে গেলো তারা।
এইদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। ১১তম মিনিটে সুযোগ পেয়ে ডি-বক্সে একা পেয়ে ঢুকে পড়েন বর্তমানে ফর্মে থাকা ফিলিপে কৌতিনিয়ো। কিন্তু তিনি শট না নিয়ে পাওলিনিয়োকে পাস দিয়ে দিলে সেই যাত্রায় ব্যর্থ হয় ব্রাজিল।
তারপরে বেশ সময় ধরে চাপ কাটিয়ে ম্যাচে লড়াই করে ব্রাজিল। কিন্তু তাদের পরিকল্পনা বিহীন শট গুলো বারবারই হতাশ করার মত ছিল। ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের সুযোগ পেয়ে ডি-বক্সে বিনা বাধায় ঢুকে পড়েন গাব্রিয়েল জেসুস। কিন্তু গাব্রিয়েলের উড়িয়ে মারা শট লক্ষবেধ করতে ব্যর্থ হয়।
তার এক মিনিট পরে ব্রাজিল সতীর্থদের আর হতাশ হতে দেননি গাব্রিয়েল জেসুস। ডান দিক থেকে উইলিয়ানের ক্রসে জোরালো হেডে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন এই ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দারুণ সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। কৌতিনিয়োর বাড়ানো বল পেয়ে শট করেন উইলিয়ান। কিন্তু গোলমুখের কাছে গিয়ে হঠাৎ করে সেই শট ঠেকিয়ে দেন জার্মানির আন্তোনিও। তার কিছু সময় পর ডি-বক্সের সামনে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে আবারও ব্যর্থ হন জেসুস।
দুই পক্ষের তুমুল লড়াই শেষের দিকে কেউ আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। যার কারণে ১-০ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ২০০২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বাসাইলসংবাদ/একে