
বাসাইল সংবাদ : শনিবার, ০৮ জুলাই, ২০১৭:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল থেকে ॥
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে সম্পাদানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। বর ও কনে পক্ষের অতিথিরাও উপস্থিত। অতিথিদের আপ্পায়নের ঠিক আগ মুহুর্তে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন উপস্থিত হন।
নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বরসহ ১৭ জনের কাছে থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ।
শুক্রবার(৭ জুলাই) দিবাগত রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন এ জরিমানা করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে ব্রাক্ষ্মনশাসন খাদিজা আছিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের ধোপাজানি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের কিশোরী মেয়ে হেলেনা আক্তার (১৪)’র সাথে একই উপজেলার নরজনা গ্রামের মৃত আরশেদ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২২) এর বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার হয়। বর ও কনে পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিরাও উপস্থিত হন বিয়ে বাড়ি।
গোপন সংবাদ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন।
তাৎক্ষনিক বিয়ে বাড়ি থেকে কনের বাবা ও বরসহ উভয় পক্ষের ১৭ জনকে আটক করে ঘাটাইল থানার পুলিশ।
পরে কনের বাবা হেলাল উদ্দিনকে ৪০ হাজার টাকা ও বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চার জনকে ১০ হাজার টাকা করে এবং বাকী সকলকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় ।
যাদের কাছে থেকে জরিমানা করা হয়েছে- শাহজাহান কবীর (৫০), মোঃ রাজিব (২৮), আঃ হাদিদ (৬০), শিউলী বেগম (৩৬), বুলবুলি বেগম (৩৫), আল আমিন (১৯), শাহিদা বেগম(৩৫), বাদশা মিয়া (৬০), আবু হানিফ (২০), আবু সাইদ (৪৫), সুমন (২০), জহুরুল ইসলাম (২০), আজিজুল হাকিম(৩৫), কনের পিতা হেলাল উদ্দিন (৪৫), বর আশরাফুল ইসলাম (২২),শামীম মিয়া (২৫), মিজানুল ইসলাম (১৯), ও আব্দুল জলিল (৪৫)। এদের সকলের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার ধোপাজানি ও নরজনা গ্রামে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন জানান, বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। যাতে করে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের প্রভাব পরে।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন