নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ৫ নভেম্বর মর্যাদাপূর্ণ শওকত ওসমান সাহিত্যপুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রাশেদ রহমানের ৫৪তম জন্মদিন। ১৯৬৭ সালের এই দিনে তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
হাইস্কুলে লেখাপড়ার সময়ই রাশেদ রহমানের লেখালেখির হাতেখড়ি। নাটক দিয়ে শুরু। কবিতাও লেখেন। তবে রাশেদ রহমানের সাহিত্যচর্চার মূলক্ষেত্র কথাসাহিত্য। বিশেষ করে, ছোটগল্প। কোনো কোনো সমালোচক রাশেদ রহমানকে বাংলা ছোটগল্পের ‘জাদুকর’ হিসেবেও অভিহিত করেন। রাশেদ রহমান ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি তার ‘বিষলক্ষার ছুরি’ গল্পগ্রন্থের জন্য শওকত ওসমান সাহিত্যপুরস্কার পান। ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় নাগরী কর্তৃক প্রকাশিত তার ‘পতিতামঙ্গল’ উপন্যাসটি পাঠক ও সমালোচকদের ভূয়শী প্রশংসা লাভ করে। রাশেদ রহমান সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘উতঙ্ক’ সম্পাদনা করেন।
রাশেদ রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা- ছোটগল্প ১৪টি, কাব্য ৩টি ও উপন্যাস ৩টি। প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে- গল্প : আগুনঘেরা নদী (১৯৯৭, শিল্পতরু), সুন্দর পাপ ও বিলাসভূমি (২০০০, দিব্যপ্রকাশ), একদিন শুকনো নদীতে (২০০৩, পলল প্রকাশনী), অন্ধকারে বৃষ্টির গান (২০০৫, পলল প্রকাশনী), ঈশ্বরের চোখে জল (২০০৭, পলল প্রকাশনী), জাদুর আয়না (২০০৯, গতিধারা), দেশে আর্মি নামলে যে গল্পের জন্ম হয় (২০১১, গতিধারা), তৌরাতের সাপ (২০১২, গতিধারা), শত্র“ কিংবা শত্র“সম্পত্তি (২০১৪, শুদ্ধস্বর), গণিকাপ্রণাম (২০১৫, শুদ্ধস্বর), আধেক মানুষ (২০১৮, কথাপ্রকাশ), বিষলক্ষার ছুরি (২০১৮, বেহুলা বাংলা), ছিনতাইকারীর চোখ (২০১৯, বেহুলা বাংলা), কুঞ্জ ও কালনাগ (২০২০, বেহুলা বাংলা); কাব্য : কুমারী নদীর কবিতা (২০০৮, পলল প্রকাশনী), দ্রৌপদীর শাড়ির আগুন (২০১০, গতিধারা), ঈশ্বরের খাদ্য ও জননীর কবিতা (২০১৩, গতিধারা); উপন্যাস : স্বপ্ন কিংবা স্বপ্নের ছায়া (২০০৬, পলল প্রকাশনী), শহীদ সতীশচন্দ্র দাস সড়ক (২০১৭, বেহুলা বাংলা), পতিতামঙ্গল (২০২০, নাগরী)।
বাসাইলসংবাদ/ ০৫ নভেম্বর, ২০২০ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন