বাসাইলসংবাদ: মঙ্গলবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০১৯:
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাককে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বিকেলে উপজেলার যাদবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলার নেতৃত্বকারী খালেক ও মালেককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ওইদিন রাতেই যুবলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে হামলার মূল নায়ক খালেকসহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামী করে সখীপুর থানায় হত্যা চেষ্টা, ভাঙচুর, মারপিট ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেছে। পরে সোমবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ গ্রেফতারকৃত আবদুল খালেক ও মালেককে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক কারবারী উপজেলার বেড়বাড়ী গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে আবদুল খালেক (৩৫), আবদুল গফুরের ছেলে আবদুল মালেক (৩৫), একই গ্রামের তাইজ উদ্দিনের ছেলে মোতালেব হোসেন (৩৭), জয়েন উদ্দিন মাস্টারের ছেলে লিটন মিয়া (৩৫), ইনু রশিদের ছেলে হাফেজ মিয়া (৪০)সহ অর্ধশত মোটরসাইকেল যোগে দেড় শতাধিক বাহিনী নিয়ে রাম দা, চাপাতিসহ দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে রোববার বিকেলে একই উপজেলার যাদবপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাককে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল খালেক ও মালেককে আটক করে জনতা। পরে পুলিশ আবদুল খালেক ও মালেকসহ তাদের ব্যবহৃত ৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বাদী আবদুর রাজ্জাক বলেন- সন্ত্রাসী আবদুল খালেক তার বাহিনী নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমাকে না পেয়ে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর, ঘরে থাকা থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস আই) আইয়্বু আলী বলেন- হামলার মূলহুতা খালেক ও মালেককে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তাদের ব্যবহৃত ৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাসাইলসংবাদ/একেবি