নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিকাশ ও মোবাইল বিক্রয়ের দোকানে হামলা চালিয়ে মোবাইল ও টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বিলপাড়া বাজারে রাশেদ মিয়ার বিকাশ ও মোবাইল বিক্রয়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে রাশেদ মিয়া বাসাইল থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বাসাইল থানার এসআই মাহবুবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার আদাজান উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহফুজের ছেলে আকাশ (২২), একই এলাকার সুজন মাস্টারের ছেলে সনদ (৩০), লালটু খানের ছেলে রিফাত (২২) ও হারুনের ছেলে রাকিব (২৫)।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আকাশ নামের এক যুবক বিভিন্ন সময় তার এপাসি ফোর-ভি মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার হলার লাগিয়ে বিকট শব্দ করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। এরপর শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিলপাড়া বাজারে বিকট শব্দ করে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে বিলপাড়া বাজারের লোকজন বিরক্ত হয়ে রাশেদ মিয়ার বিকাশ ও মোবাইল বিক্রয়ের দোকানের সামনে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেসময় আকাশ তার ভুল স্বীকার করে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আকাশ, সনদ, রিফাত ও রাকিবসহ আরও কয়েকজন মিলে রাশেদের বিকাশ ও মোবাইল বিক্রয়ের দোকানে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় রাশেদকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এক পর্যায়ে দোকানে থাকা রাশেদের সাড়ে চার লাখ টাকা, ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও ৯টি বাটন মোবাইল লুট করে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। রাশেদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রিফাত নামের এক যুবককে আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুজ্জামান বক্তার ও রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে রিফাতের পরিবারের মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী রাশেদ মিয়া বলেন, ‘আকাশ বিভিন্ন সময় তার এপাসি ফোর-ভি মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার হলার লাগিয়ে বিকট শব্দ করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। শুক্রবার সকালে একই কায়দায় মোটরসাইকেল চালালে আমার দোকানে বসে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি এগিয়ে গিয়ে তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে আকাশ তার ভুল স্বীকার করে সেখান থেকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ৮ থেকে ১০ জন যুবক এসে অতর্কিতভাবে আমার দোকানে ভাংচুর শুরু করে। এসময় আমাকে পিটিয়ে জখম করে। এ পর্যায়ে দোকানের ক্যাশ বক্সে থাকা সাড়ে ৪ লাখ টাকা লুট করে নেয় তারা। এছাড়াও ২টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ও ৯টি বাটন মোবাইলও নিয়ে যায়। এসময় আমার ডাকচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে তারা দ্রæত চলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে বাসাইল থানা পুলিশ আমার দোকান পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশ আইনী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুজ্জামান বক্তার বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়েছে। দোকানে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।’
বিলপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আবুবকর সিদ্দিকী বলেন, ‘দোকানের মালিক রাশেদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। দোকানে ভাংচুর ও টাকা লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’
বাসাইল থানার এসআই মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
বাসাইলসংবাদ, ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ / একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন