
বাসাইলসংবাদ: সোমবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮:

সখীপুর: টাঙ্গাইলের সখীপুরে আকলিমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আকলিমা আক্তারের মৃত্যু হয়। নিহত আকলিমা আক্তার উপজেলার কচুয়া বেপারীপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী জুয়েল রানা একই উপজেলার কালিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
জানা যায়, দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার কচুয়া বেপারীপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে আকলিমা আক্তারকে স্বামী জুয়েল রানা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সে সময় আকলিমা স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশুনা করলেও বিয়ের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তার স্বামী বিদেশ চলে গেলে স্থানীয় সানস্টার বিএম কলেজে ভোকেশনাল শাখায় পড়াশুনা শুরু করে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ভোকেশনাল শাখায় ওই কলেজ থেকে আকলিমা এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
আকলিমার বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকতো। শনিবার রাতে আমার বাড়িতেই আমার মেয়েকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। দুইদিন চিকিৎসার পর সোমবার সকালে আকলিমা মারা যায়। ঘটনার পরপরই জুয়েলকে আটক করলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদল হোসেনের নেতৃত্বে জুয়েলের এলাকার মেম্বার শামছুল আলম, আবুল হাশেম ও বিল্লাল হোসেন মিলে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে নেয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাসাইলসংবাদ/একে