
বাসাইলসংবাদ: বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এক বিশ্বায়ন গবেষণায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে বায়ুর গুণগতমাণ দ্রুত নিম্নমুখী হচ্ছে। এখানে বাতাসে বিপজ্জনক উপাদান ‘পার্টিসিপেট মেটার’ বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও ১০ গুণ বেশি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ‘গ্লোবাল এয়ার-২০১৮’-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডব্লিউএইচও বাতাসে পিএম-এর উপাদানের নিরাপদ পর্যায় নির্ধারণ করেছে ১০ মাইক্রোগ্রাম/এম৩, যা ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বায়ুতে ছিল ১০১ মাইক্রোগ্রাম।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে বায়ু দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বর্তমানে বাতাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ দূষণ বহন করছে।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, রাজধানীতে বাতাসে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি ৫৮ শতাংশ, যা আসে চিরাচরিত ইটের ভাটা থেকে। অন্যদিকে পিএম .২৫ মাত্রার বায়ুদূষণের জন্য ১৫ শতাংশ রাস্তার ধূলোবালি এবং ১০.৪ শতাংশ মোটরযান দায়ী।
ডিওই তার ২০১৬-১৭ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু উদ্যোগের দিক তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে ইটের ভাটা আধুনিকীকরণ, মোটরযানের কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ুদূষণের ব্যাপারে মনুষ্য-সৃষ্ট কারণগুলো দূর করার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি।
বোস্টনভিত্তিক হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (এইচইআই)-ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছে, বিশ্বের ৯৫ ভাগ মানুষ অনিরাপদ বায়ুতে বসবাস করছে এবং তাদের অধিকাংশই অনুন্নত দেশের অধিবাসী।
রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ গৃহে গরম করা বা রান্নার কারণে সলিড জ্বালানি পুড়ে বলে বায়ু দূষণের শিকার হয় এবং এ কারণে প্রতিবছর ভারত ও চীনে ৩০ লাখ এবং বিশ্বজুড়ে ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে।
এইচইআই’র রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদপ্তর বলেছে, বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এইচইআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ক্রনিক বক্ষব্যাধিতে মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
সূত্র-ঢাকাটাইমস
বাসাইলসংবাদ/একে