
বাসাইল সংবাদ: শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হল টাঙ্গাইলের তিনদিন ব্যাপি ইজতেমা। টানা তিনদিন বয়ান ও আমলের পর শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে আখেরী মোনাজাত করেন কাকরাইলের মুরুব্বী মাওলানা মোশারফ হোসেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা তাবলিগের সাথীদের পাশাপাশি মোনাজাতে শরিক হয়েছিলেন দূর- দূরান্ত থেকে আসা অনেক মুসল্লিরাও। পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লির আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। এসময় মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়। ময়দানে জায়গা না হওয়ায় অনেকে আশপাশের সড়কগুলোতে দাঁড়িয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে পর ইজতেমা ময়দান থেকে দিন-ই ইসলাম ও কালেমার দাওয়াত দিতে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছেন তাবলীগী সাথীরা।
গত ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল শহরের বৈল্যা ধুলেচর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় উন্মক্ত ময়দানে টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমা শুরু হয়। টাঙ্গাইল জেলার সবকটা উপজেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী তাবলিগি সাথীরা ইজতেমায় সমবেত হয়েছিলেন। টাঙ্গাইল ছাড়াও অন্যান্য জেলার তাবলিগি সাথীরা ইজতেমায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এছাড়া বিদেশী তাবলিগি সাথীরাও টাঙ্গাইল জেলা ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুরুব্বীরা।
টাঙ্গাইলের তাবলিগি আমীর মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, টুঙ্গি তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা লাখ লাখ মুসুল্লীর সমাগম হয়, এজন্য মুসুল্লীদেরকে নানা প্রতিকুলতার সম্মুখিন হতে হয়। এজন্য দেশের ৬৪টি জেলার তাবলিগি সাথীদের দুই ভাগে ভাগ করে ৩২ জেলা করে দুই পর্বে ইজতেমায়ী কাজ চলত। দুই পর্ব করার পরও মুসুল্লীদের জায়গার স্বল্পতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে ৩২টি জেলা দুই পর্বে করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের তাবলিগী মুরুব্বীরা। টাঙ্গাইল জেলা ২০১৫ সালে বিশ্ব ইজতেমার ৩২ জেলার তালিকায় না থাকায় ওই বছরের ২৯,৩০ ও ৩১ অক্টোবরে প্রথম ইজতেমা শুরু হয়। ২০১৬ সালে তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন টাঙ্গাইলের মুসুল্লীরা। ২০১৭ তে তুরাগতীরে টাঙ্গাইলের মুসুল্লীদের অংশ গ্রহণের সুযোগ না থাকায় এবারও জেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে আগামী ২০১৮ সালে টাঙ্গাইলের মুসুল্লীরা তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন