অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) পুলিশের বাড়াবাড়ি বন্ধসহ এ বিভাগ বিলুপ্তির দাবিতে ম্যানহাটনে নিউইয়র্ক পুলিশের বিভাগীয় সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন সেখানকার সাধারণ নাগরিক। এ ঘটনায় ৮৬ জন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। বিক্ষোভ ও প্রতিবার মিছিলের সময় দাবি নিয়ে রাস্তায় নামার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করতে শুরু করে পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইস) একটি আটক কেন্দ্রে এক নারী অভিবাসীকে অতিমাত্রায় বলপ্রয়োগ করা হয়। এরই প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। কয়েকটি ভিডিও দৃশ্যে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও করছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় বেশ কিছু বিক্ষোভকারী বসেছিল। এ সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছিল। এক বিক্ষোভকারী চিৎকার করে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘আপনাদের সমস্যাটা কোথায়। তারা তো বসে আছে। তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে?’
এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) এক সতর্ক বার্তায় বলেছে, ‘বিক্ষোভকারীরা বেআইনিভাবে সড়কে অবস্থান নিয়েছে এবং যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।’ অথচ লেভিয়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গিয়ে তাদের বাইসাইকেল রাস্তা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওয়ান পুলিশ প্লাজার কাছে পার্ল ও ম্যাডিসন স্ট্রিট থেকে বিক্ষোভকারীদের দ্বিতীয় গ্রুপটি অবস্থান নিয়েছিল। সেখান থেকেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই জায়গায় আইসবিরোধী বিক্ষোভ থেকে মোট ৪১ জন পুরুষ ও ৪৫ জন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে বেআইনি কর্মকাণ্ড ও গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে আইসকে কাজে লাগাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইসের কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে নানা বিতর্ক উঠেছে। ট্রাম্পের জমানায় আমেরিকার সবচেয়ে সক্রিয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পরিণত হয়েছে এই সংস্থাটি। প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিতে একমাত্র আইস-ই আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সংস্থাটির অভিযান ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে।
সম্প্রতি কয়েকমি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রেটা সোটো মোরেনো নামের এক আশ্রয়প্রার্থী অভিযোগে বলেছিলেন, ‘আইসের কারাগার ও আটক কেন্দ্রগুলোর অবস্থা সাধারণ কারাগারের চেয়ে ভয়াবহ। তারা মনে করে অভিবাসী কিংবা শরণার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ করাই যায়। এর চেয়ে উন্নত পরিবেশ তাদের প্রাপ্য নয়। আর এটাকেই আইস বলে জিরো টলারেন্স নীতি।’
বাসাইলসংবাদ/ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন