নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে অন্যের জায়গার উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মো. হারুন (৩২) নামের এক যুবককে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ডেকে এনে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। আহতবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মঙ্গলাবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের বরটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হারুন বরটিয়া গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে। এ ব্যাপরে অভিযুক্ত প্রতিবেশি আফাজ মুন্সীর ছেলে রেজা (৩৫), অপর ছেলে তমাল (২৭), আওয়ালের ছেলে হাবিব (২৫) ও গফুরের ছেলে আজাদ(১৮) কে আসামী করে দেলদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হারুনের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম।
আহত হারুন ও তার ভাই শুকুর জানান, হারুন, জহুরুল,রিনা ও খশরুর বাড়িতে একটি খুটিসহ চারটি মিটারের আবেদন করে হারুন। মাসখানি আগে ঠিকাদার পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ও তার এনে লাইনের সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিবেশি আফাজ মুন্সীর পুকুরের একপাশ দিয়ে তার টানার প্রয়োজন হলে তাদের বাঁধায় ঠিকাদার লাইন না দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সারদিন শ্রমিকের কাজ শেষে সন্ধ্যায় খেতে বসলে হাবিব তাকে আলোচনার কথা বলে ডেকে নিয়ে বরটিয়া নুরুর মোড়ে নেওয়ার আগেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎপেতে থাাকা আরও চারপাঁচজন যোগ দিয়ে হারুনকে এলাপাথারী রড দিয়ে পেটাতে থাকে। হারুনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বুধবার কর্মরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য হারুনকে টাঙ্গাইল পাঠান। এবং বুধবারই থানায় মামলা করে। পরে শহরের সোনিয়া ক্লিনিকে সমস্থ পরীক্ষা নিরিক্ষা করানোর পর পূণরায় হারুনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গুরুতর আহত হয়ে দিনমুজুর হারুন হাসপাতালে থাকায় শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হারুনের গর্ভবতী স্ত্রী। চিকিৎসা করাতেও পারছেন না তিনি।
এদিকে ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সরকারের এমন উদ্যেগে বাঁধা দেওয়া এবং বর্বরিচিত হামলায় সামাজিকভাবে সমালোচিত হয়েছে হামলাকারীরা। নুরুর মোড়ের ব্যবসায়ীরা হারুনকে মারধরের তীব্র নিন্দা জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জায়গার উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নিতে চাওয়ায় প্রতিপক্ষ বাঁধা দিয়েছে। এর আগেও সরকারি কাজে বাঁধা দিতে নিষেধ করে সমন্বয় করতে বলেছি। হঠাৎ বাড়ি থেকে ডেকে এসে হারুনকে এভাবে মারধর করা উচিৎ হয়নি।
পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফুজ্জামান লিটন বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি। সামাজিকভাবে মিমাংশা করার চেষ্টা করবো। অন্যাথায় আইংিন প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে।
মামলার আইও দেলদুয়ার থানার এসআই সাচ্চা জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বরটিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাসাইলসংবাদ/ ১৫ অক্টোবর, ২০২০ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন