
বাসাইলসংবাদ: শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বখাটে এক সৎমামার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের কারণে মেয়েটি এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া পুকুরপাড় এলাকায়।
এ ঘটনায় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে সৎমা রোজিনা আক্তার ও ধর্ষক সৎমামা আবু হাসানের (১৯)্ বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ধর্ষক হাসান গা ঢাকা দিয়েছে।
ধর্ষক আবু হাসান উপজেলার কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি উপজেলার কচুয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়লেও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রায় চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেয়েটির বাবা কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। সাত-আট বছর আগে মেয়েটিকে রেখে তার মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। এরপর চার বছর আগে সৎমা রোজিনাকে বিয়ে করেন মেয়েটির বাবা। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় সৎমা রোজিনা আক্তার প্রায় দুই বছর ধরে তার ভাইকে বাড়িতে এনে রাখছেন। হাসান একা ঘরে থাকলে স্বপ্নে তাকে ‘বোবায়’ ধরে এমন অজুহাতে রোজিনা মেয়েটিকে মামার ঘরেই থাকার কথা বলে।
মেয়েটি জানায়, এক রাতে ঘুমানোর পর ওই সৎমামা তাকে ধর্ষণ করে। সুযোগ বুঝে এভাবে মাঝে মধ্যেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই সৎমামা। এ বিষয়ে তার সৎমাকে জানালেও তিনি এ বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। উল্টো মেয়েটিকে কাউকে কিছু না জানাতে শাসিয়ে দেন। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এলাকায়ও কানাঘুষা শুরু হলে মেয়েটিকে সৎমা গৃহবন্দি করে রাখে।
মেয়েটি এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে (২২ ফেব্রুয়ারি) আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একটি ক্লিনিকের চিকিৎসক।
মেয়েটির চাচা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় চার মাস ধরে বিষয়টি জানাজানি হলেও হাসান ও তার বোন বিষয়টি পাত্তা দিচ্ছে না।
মেয়েটির পরিবারের লোকজনের দাবি ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইদ্রিছ শিকদারের মধ্যস্থতায় স্থানীয়ভাবে একাধিকবায় মীমাসাংসার চেষ্টা করা হলেও কোন লাভ হয়নি। এ বিষয়ে কচুয়া ওয়াজেদিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইদ্রিছ শিকদার ও মাদ্রাসার সুপার মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মেয়ের চাচা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।’
বাসাইলসংবাদ/একে