
বাসাইলসংবাদ: রোববার, ২০ মে, ২০১৮:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ড্রাইভার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী পান্না বেগম (৩২) ৩য়-৪র্থ শ্রেণী স্টাফ কোয়ার্টার থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১৫ মে) সকালে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঝলুন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
মৃত পান্না বেগম বাসাইল উপজেলার ফুলকী ঝনঝনিয়া গ্রামের হবিবুর রহমান খানের মেয়ে। তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টাঙ্গাইল শহরস্ত সাবালিয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সন্তোষের ৩য়-৪র্থ শ্রেণী স্টাফ কোয়ার্টারের ৪র্থ তলার দক্ষিণ-পূর্ব ফ্লাটে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহিদুলের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। জাহিদুল রাগ করে টাঙ্গাইল শহরস্ত সাবালিয়ায় তার বোন রাজিয়ার বাসায় রাত যাপন করে। এদিকে তার স্ত্রী পান্না মেয়ে এবং ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমাতে বলে। পান্না অন্যরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
রাতে তার মেয়ে প্রীয়ন্তি (১১) ও ছেলে তালহা (৬) তাদের মাকে ডাকাডাকি করে। কোন সারা না পেয়ে তারা মনে করে মা ঘুমিয়ে গেছে এবং তারাও ঘুমিয়ে যায়। পরদিন সকালে আবারও ডাকাডাকি করে সারা শব্দ না পেয়ে তারা প্রতিবেশীদের জানায়।
প্রতিবেশীরা গিয়ে দরজা ভেঙে পান্নাকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তারা ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি নামায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১২ টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আরিফ ফয়সাল বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি এটা আত্মহত্যা। লাশের পোস্ট মর্টেম এর পর হত্যা না আত্মহত্যা জানা যাবে।
বাসাইলসংবাদ/একে