
বাসাইলসংবাদ: রোববার, ২৪ জুন, ২০১৮:

অনলাইন ডেস্ক :
অতিরিক্ত সময়ে প্রথম গোলটির কিছুক্ষণ পরই আরেকটি গোল হয়েছে। কোস্টারিকার ম্যাচে ব্রাজিল ৯০ মিনিট গোল পায়নি। ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। সেটা হচ্ছে ব্রাজিল ছন্দে ফিরেছে। এই ছন্দে ফেরা ব্রাজিলকে আটকানো কঠিন হয়ে যাবে। সুইজারল্যান্ডের ম্যাচে বেশ আড়ষ্ট ছিলেন নেইমার। এ ম্যাচে কোটিনহো
গোল পেয়েছেন। নেইমারও শেষে পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপ গোল। এখন পরবর্তী ম্যাচ থেকে অন্য ব্রাজিলকে দেখবে বিশ্ব। ছন্দে থাকা ব্রাজিল আর সমুদ্রের ঢেউকে রুখে দেওয়া বেশ কঠিন।
যে কোন টুর্ণামেন্ট ব্রাজিল দারুণ শুরু মানে তারা ফেভারিট হয়ে যায়। নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচে প্রথম ২০ থেকে ৩০ মিনিট ব্রাজিল স্বস্তি দেয় না। এর পর একটু হতাশা ওদের মধ্যে কাজ করে। প্রতিপক্ষ দল সে সুযোগটাই নেয়। ব্রাজিল এ ম্যাচে একটু অন্যভাবে জিতেছে। শেষে গিয়ে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। কোস্টারিকা এ চাপ রাখতে পারেনি। নেইমার ম্যাচ শেষে কেঁদে ফেলেছেন। প্রত্যাশার চাপও ওর কাঁধে জেঁকে বসেছে। প্রত্যাশা ভালো। আপনি যখন ব্রাজিল টিমে খেলবেন এটা থাকবেই। আর এটা মেনে নিয়ে চলতে হবে, উপায় নেই। আপনি ভুলে গেলেও মিডিয়া আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। আমি মনে করি প্রত্যাশার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটি দিকই আছে।
ব্রাজিল কতদূর যাবে, সেটা বোঝা যাবে কোয়ার্টার ফাইনালের পর। ব্রাজিলের দলটি অনেক গোছানো। তবে যেটা অপরিচিত লাগছে, সেটা হচ্ছে বক্সে তারা একটু অগোছালো। এটা কাটিয়ে উঠবে হয়তো। এটা আমি কেন সবাই আশা করে। ব্রাজিলের কাছে সবারই প্রত্যাশাটা বেশিই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আর আমি চাই আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি অবশ্যই যেন পরের পর্বে যায়।
বাসাইলসংবাদ/একে