
বাসাইলসংবাদ: শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮:

এনায়েত করিম বিজয় ॥
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়ায় ও কাশিল কেবিএন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝিনাই নদীতে ব্রিজ না থাকায় ৪ উপজেলার জনসাধারণের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাঞ্চনপুর ও কাশিলের ঝিনাই নদীতে ব্রিজ না থাকায় বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর।
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়ায় ও কাশিল কেবিএন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝিনাই নদীতে প্রতিদিন নৌকা করে পারাপার হয় মির্জাপুরের আদাবাড়ি গহর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বাসাইলের কাঞ্চনপুর এলাহিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিল কেবিএন উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিল আব্দুল কাদের আব্দুল খালেক দাখিল মাদরাসা, হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিম খানাসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও মির্জাপুর, দেলদুয়ার, সখীপুর ও বাসাইল উপজেলার জনসাধারণ।

এভাবেই প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে পারাপার হতে হচ্ছে….বাসাইলসংবাদ
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া থেকে বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর সড়কের ঝিনাই নদীর ওপর ১৯৯৮ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। পরে গত ২০১৫ সালের আগস্টে বালু বহনকারী একটি ট্রলারের ধাক্কায় ওই সেতুটির একটি পিলার ও ওপরের কিছু অংশ ভেঙে যায়। ফলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। একই সালে কাশিল ভায়া বল্লা-নাটিয়াপাড়া সড়কের ঝিনাই নদীতে সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৪ বছর ব্যবহারের পর সেতুটির নিচের মাটি সরে গিয়ে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে যায়। ফলে এখানেও যাতায়াত বন্ধ হয়।
কাঞ্চনপুর ছনকাপাড়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজের অভাবে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদি পশু পারাপারের সময় তাদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, কাঞ্চনপুর ও কাশিলে কোমলমতি শিশু-কিশোররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে নদী পারাপার হয়ে স্কুুলে যাতায়াত করছে। অতিরিক্ত মানুষ নিয়ে নৌকা পারাপারের কারণেও মাঝে মধ্যেই নৌকা ডুবে যায়। এছাড়াও এখানে নৌকা করে পারাপার হতে জনপ্রতি ৫ টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে লাগে ১০টাকা। দুইটি নদীতে নৌকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, কাশিল ও কাঞ্চনপুর কাজিরাপাড়ায় ব্রিজের জায়গা পরিমাপ করা হয়েছে। আশা করি অতিদ্রুতই ব্রিজগুলো অনুমোদন হবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বাসাইলসংবাদকে বলেন, ‘কাঞ্চনপুর, কাশিল ও দাপনাজোর এলাকার ঝিনাই নদীর ওপর তিনটি ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অতিদ্রুতই ব্রিজের কাজগুলো পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তিনটি ব্রিজের কাজই একত্রে করা হবে।
বাসাইলসংবাদ/একে