
বাসাইলসংবাদ: বুধবার, ০৪ এপ্রিল, ২০১৮:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জন্মের পরই কোন পাষাণ্ড হৃদয় ফুটফুটে ছেলে শিশুটিকে ফেলে গেছে। কুকুরের মুখ থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। যে নব্য শিশুটি থাকার কথা স্নেহের আঁচলে মোড়ানো মমতাময়ী মায়ের কোলে অথচ কি দূর্ভাগ্য শিশুর। সেই নবজাতক শিশুটির স্থান হল নির্জন একটি রাস্তার পাশে। মানবিক দিকদিয়ে বিচার করলে বিষয়টি কতটা অমানবিক? এমন প্রশ্নই স্থানীয়দের। এ অমানবিক বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যে’র সৃষ্টি হয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের কররা কাওয়ালজানী গ্রামে একটি রাস্তার পাশে সদ্য ভূমিষ্ঠ ফেলে যাওয়া ওই শিশুটিকে বুধবার (০৪ এপ্রিল) ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় টানা হেচড়া করছিল একটি কুকুর। এসময় ওই দৃশ্যটি স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ূন মাষ্টারের চোখে পড়ে। তিনি কুকুরটিকে তাড়িয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর শিশুটি ওই গ্রামের বেনজির আহমেদের বাড়িতে সুস্থ ও নিরাপদে রাখা হয়। এ ঘটনাটি তাৎক্ষণিক এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় উৎসুকজনতা শিশুটিকে দেখার জন্য বেনজির আহমেদের বাড়িতে ভীর জমান।
উদ্ধার হওয়া শিশুটি কার এনিয়ে জনমনে নানা কল্পনা জল্পনা চলছে। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ শিশুটিকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আগত লোকদের প্রশ্ন অজ্ঞাত পরিচয়হীন নবজাতক এই শিশুটি কার? কার পাপের বোঝা বহন করছে এই নিষ্পাপ শিশুটি? কোন পাষান এভাবে অবুঝ শিশুটিকে নির্জনস্থানে ফেলে যায়? এর সাথে জড়িতদের পরিচয় কখনো পাওয়া যাবে কি?
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির পরিচয় উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে। শিশুটি এখন সুস্থ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাসাইলসংবাদ/একে