
বাসাইল সংবাদ: বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭:

এনায়েত করিম বিজয় :
টাঙ্গাইল-সখীপুর ভায়া বাসাইল সড়কে তীব্র যানজট এখন নিত্যদিনের চিত্র। অতি জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ সড়কে কলেজপাড়া এলাকায় বিধ্বস্ত ছাপড়া ব্রিজের ওপর অপেক্ষাকৃত সরু বেইলী সেতু প্রতিস্থাপনের কারণে এ সেতু দিয়ে দু’টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা অতিক্রত করাই দুরূহ। তার ওপর বাস, ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যানসহ ভারী যান চলাচলতো আছেই।
বাসাইলের কলেজপাড়া এলাকায় চাপড়া ব্রিজের ওপর সরু বেইলি সেতু নির্মাণের কারণে প্রতিনিয়ত এরকম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়….বাসাইলের কলেজপাড়া এলাকায় চাপড়া ব্রিজের ওপর সরু বেইলি সেতু নির্মাণের কারণে প্রতিনিয়ত এরকম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়….।
এছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের সময় বিড়ম্বনা এড়াতে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ গাড়ি এ সড়কটি ব্যবহার করে। ফলে প্রতিনিয়তই এখানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে হাজার হাজার যাত্রী-সাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ এ সড়কের প্রধান যানবাহন সিএনজি চালিত অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন দিনেরপর দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বাসাইলের টানা ব্রিজ (বেইলী) এর দু’পাশে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। মোটরসাইকেলও চলাচল করতে পারে না তীব্র যানজটের মধ্যে। এ এলাকার দুর্ভোগ চোখে পড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস চালান শাহীন মিয়া। তিনি বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় প্রায় দশ হাজার যানবাহন চলাচল করে। সিএনজি চালক মেহেদী হাসান বলেন, বেইলী সেতুর কারণে প্রতিনিয়তই যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। আগে এখানে কখনো যানজটের সৃষ্টি হতো না। সরু এ সেতু নির্মাণের কারণেই দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকার বিজ্ঞমহল মনে করেন এ ব্রিজটির দু’পাশে স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় এখানে ব্রিজের কোন প্রয়োজন নেই। এখানে ব্রিজের পরিবর্তে মাটি ভরাট করে লেভেল রাস্তা তৈরি করাই শ্রেয়। এতে সরকারি অর্থেরও অপচয় কম হবে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়মা আক্তার এলাকার যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জেলা উন্নয়ন সমন্বয় মিটিং-এ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উত্থাপন করা হলে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। পরবর্তী উন্নয়ন মিটিংয়েও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উত্থাপন করা হবে।
এব্যাপারে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরে আলম বলেন, এখানে একটি নতুন ব্রিজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখনো অনুমোদন হয়নি। নতুন ব্রিজ অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এ দুর্ভোগ নিরসনে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। নিয়মানুযায়ী ব্রিজের স্থলে ব্রিজই করতে হবে। তবে চেষ্টা করব যাতে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা যায়।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন