
বাসাইল সংবাদ : রোববার, ২৩ জুলাই, ২০১৭:

নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি পন্ড হয়ে গেছে। দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রেসক্লাব চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। পুলিশ এবং প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি আয়োজন করে। সকালে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। তবে বিএনপি’র বিদ্রোহী গ্রুপ প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যাযে উভয় গ্রুপ পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এতে করে দুই গ্রুপের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় । পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয় এবং ১২ রাউন্ড টিআরশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই আল মামুন ও কনস্টেবল ইসরাফিল সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ আহত হয়েছে।
আহত দুই পুলিশকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রেসক্লাব ও আশেপাশের এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ব্যস্ততম সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্রোহী গ্রুপ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ও কমিউনিটি সেন্টারের দরজা-জানালা ভাঙ্গচুরসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এসময় টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাবের সামনে রাখা একটি (ঢাকা মেট্রা-গ ১৪-১০৮৫) নম্বরের একটি প্রাইভেট কার তল্লাশি করে কয়েক ডজন ধারালো অস্ত্র, চাপাতী চাকু, রড, হাতুরী, পেথিডিন ইনজেকশন, ও সিরিঞ্জসহ ১১জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ । হামলার খবর পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের সহযোগীতায় বিএনপির বিদ্রোহী একটি গ্রুপের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। আমাদের কর্মসূচি পন্ড করাই ছিল তাদের মূল উদ্যেশ্য। উল্লেখ্য, গত ২৬মে শামছুল আলমকে সভাপতি এবং ফরহাদ ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষনা করা হয়। শামছুল আলম সাবেক উপমন্ত্রী ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামী আব্দুস সালাম পিন্টু এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ভাই। বিদ্রোহী পক্ষের অভিযোগ সুলতান সালাউদ্দিন কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে তার ভাইকে সভাপতি করেছেন ও তাদের অনুসারিদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন। পরে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই কমিটি বাতিলের দাবিতে চারজন কমিটি থেকে পদত্যাগ করে। বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কমিটি যে কর্মসূচী নেবে তা প্রতিহত করার ঘোষনা দেন।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন