বাসাইলসংবাদ: শুক্রবার, ০৩ আগস্ট, ২০১৮:
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখা করেছেন কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে। প্রধানমন্ত্রী শোকাহত দুই পরিবারকে সান্ত্বনা ও প্রতি পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র অনুদান দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি গাড়ি এসে দিয়ার মা রোকসানা বেগম, বাবা জাহাঙ্গীর আলম, বড় বোন রোকেয়া খানম রিয়া ও ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিয়াদুল ইসলাম আরাফাতকে নিয়ে যায়। দিয়ার খালা নাজমা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে চান, সেজন্য তাদের ডেকে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দর সড়কের বাঁ-পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম সজিব। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের নিকটস্থ কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলা এই আন্দোলনে ছাত্রদের যেন কোন প্রকার সমস্যা ও হয়রানি না করা হয় তা নিশ্চিত করছে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই সম্পর্কিত নির্দেশ দেয়া হয়। সচিবালয়ে সরকারের অবস্থানের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজে এই আন্দোলনের খবরাখবর নিয়েছেন এবং প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।
মূলত নৌমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই প্রধানমন্ত্রী তাকে আলাদা ডেকে নিয়ে উক্ত বক্তব্যের সমালোচনা করেন ।এবং এটা যে শিক্ষার্থীদের আবেগ কে কষ্ট দেয় তা বুঝিয়ে বলেন। আর এই ঘটনাতেই প্রতীয়মান হয়, সরকার ঘটনাটি নিয়ে কতটা আন্তরিক আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবতার প্রতীক হিসেবে। দুর্ঘটনার পরই তিনি জরুরি ভিত্তিতে তহবিল থেকে শোকার্ত পরিবারকে ডেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি, রাজপথে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা যাতে কোন রাজনৈতিক অপশক্তির প্ররোচণায় না পড়ে সেদিক নিয়েও তিনি চিন্তিত এবং সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন।
ঘাতক বাস জাবালে নূর পরিবহনের মালিককে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাসের চালক ও হেলপারকে। রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে জাবালে নূরের। সড়কের নিরাপত্তা বাড়াতে আইন সংশোধনের কথাও বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আর এতসব কাজ হয়েছে, এত দ্রুততার সাথে কেননা সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। সরকার ন্যায্য দাবির প্রতি আন্তরিক। আসুন, এই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখি এবং সরকারের উপর আস্থা রাখি।
বাসাইলসংবাদ/একে