বাসাইলসংবাদ: শনিবার , ২৩ মার্চ, ২০১৯:
॥ জোবায়ের হোসেন ॥
বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। তিনি টানা পাঁচ বারের ইউপি চেয়ারম্যান ও টানা দুইবারের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এবারও তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। এবার সফল হলে টানা ৮বারের জনপ্রতিনিধি হবেন তিনি।
তিনি ১৯৭০ সালে ছিলেন উপজেলা ছাত্র সংগ্রামী পরিষদের আহবায়ক। তারপর ১৯৭১ সালে যোগ দেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রয়েছে তার সুখ্যাতি। ১৯৭৪ সালে তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৪ সালে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই থেকে শুরু। টানা পাঁচ বার তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে। তারপর ২০০৮ সালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। টানা দুই মেয়াদে চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে স্কুল ভবন পাকাকরণ, কালভার্ট নির্মাণ, প্রামীণ রাস্তার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক হিসেবে দলমত নির্বিশেষে তার রয়েছে অসীম সুখ্যাতি।
এবারও তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, রাজনীতির কাছে জীবন বিলীন করে দিয়ে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। সততা বজায় রেখে কাজ করেছি সব সময়। তাই জনগণ বার বার আমাকে তাদের একজন সেবক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আশাকরি এবারও আমাকে তারা বিমুখ করবে না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই এলাকার মানুষের সেবা ও উন্নয়ন করে যেতে চাই।
প্রসঙ্গত, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪ জন প্রার্থী। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা চায়ের দোকান, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সাঁটিয়েছেন পোস্টার-ফেস্টুন। প্রার্থীরা গণসংযোগসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মার্চ।
বাসাইলসংবাদ/একেবি