নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবেশি এক নারীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা’র বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুধু চেয়ারম্যান নয় তার সাথে প্রতিবেশী রুবেলও ওই নারীকে মারধর করেন।
অভিযুক্ত সরকার নূরে আলম মুক্তা উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। এরআগে ওই নারী তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে গালাজগালাজ করার ঘটনায় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিল বলে জানান নির্যাতিত নারী।
এঘটনায় রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে ওই চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী। এছাড়াও একইদিন উপজেলার কালীদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী। গত শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওর্য়াডে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে দেখা যায় ভুক্তভোগী ওই নারী তার সন্তানের বিচার চাইতে প্রতিবেশী চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যাড। এসময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে কথা বলায় প্রতিবেশী রুবেল এসে ওই নারীর সাথে বাগবিত-া শুরু করেন। এরপর রুবেল প্রথমে মারধর করে। এরপর চেয়ারম্যানও তাকে মারধর করেন।
জানা যায়, সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন ওই নারী। একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাও। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে এবং ওই নারীর মেয়ের মধ্যে ‘তুচ্ছ একটি ঘটনাকে’ কেন্দ্রকরে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন। এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হয় ওই নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘মেয়েকে হুমকি-ধামকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তার আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীর জখম করে দিয়েছেন।’
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে আরেক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল। সে বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলেছে। আমাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
বাসাইলসংবাদ, ০৫ মার্চ, ২০২৪ / একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন