
নিজস্ব প্রতিবেদক, সখীপুর : টাঙ্গাইলের সখীপুরে তালাক প্রত্যাহার ও স্বামীর অধিকার চেয়ে ঘরের সামনে তিন শিশু সন্তান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে সেতু আক্তার (২৭) নামের এক নারী। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেড়বাড়ী খন্দকার পাড়ায় স্বামী উজ্জলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার সময় মারধর ও কাপড়চোপড় ছিড়ে ফেললে লুঙ্গি পড়ে লজ্জা নিবারন করে বলে জানায় এই নারী। গত তিনদিন ধরে এই অবস্থান চলছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

প্রতিবেশী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেড়বাড়ী গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে উজ্জলের সঙ্গে পার্শ^বর্তী বাসাইল উপজেলার জামাল মিয়ার মেয়ে সেতু আক্তারের ১৬ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি কন্যা সন্তান আছে। গত চার মাস আগে পারিবারিক কলহের কারনে উজ্জল তার স্ত্রী সেতুকে ডিভোর্স দেয়। এতে সেতু আক্তার টাঙ্গাইল আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন। মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বামী উজ্জল ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করবেন বলে ফুসলিয়ে মামলা তুলে বাড়ি ফিরে আসতে বলেন।
স্ত্রী সেতু আক্তার বলেন, বাড়িতে এনে আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই শীতের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে ঘরের সামনে রাত কাটিয়েছি। গতরাতে আমাকে সরানোর জন্য অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এখন বাবার বাড়িতেও ফিরে যেতে পারবো না। আমি তালাক প্রত্যাহার চাই এবং স্বামীর অধিকার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বছির উদ্দিন বলেন, আমি চেয়ারম্যান মহোদয়কে নিয়ে বেশ কয়েকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। মামলা থেকে জামিন পেয়ে উজ্জলের পাত্তাই পাওয়া যায় না।
উজ্জল মিয়া মোবাইলে বলেন, আমার স্ত্রী মোবাইল ফোনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলে। এতে বাধা দিতে গেলে আমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ডিভোর্স দেওয়ার পরও আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সখীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলাম, দুজনের মধ্যে অনেক আগে ডিভোর্সের মাধ্যমে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তিনদিন আগে উজ্জল তার বড় মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য মেয়ের নানার বাড়ি থেকে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়ের সাথে মেয়ের মা উজ্জলের বাড়িতে এসে স্বামীর অধিকার চাচ্ছেন। এ বিষয়ে মহিলাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
বাসাইলসংবাদ, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ / একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন