নিজস্ব প্রতিবেদক : ছেলে-মেয়ের স্বপ্ন পূরণের আশা নিয়ে প্রবাস ফেরত হাসান প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে একটি বিমা করেন। তিনি ২০১৭ সালে ১৫ বছর মেয়াদে বাৎসরিক ৫০ হাজার টাকা কিস্তিতে বিমাটি করেন। তার বিমা অংক ছিল ৬লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তিনি দুইটি কিস্তিতে এক লাখ টাকা জমা করেন। ভাগ্যের কি নির্মমপরিহাস তৃতীয় কিস্তি দেওয়ার আগেই তার অকালে মৃত্যু হয়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্ত্রী পারুল বেগম ও এক মেয়ে এবং এক ছেলে। পারুল বেগম প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে মৃত্যুদাবীর টাকা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ধরেই নিয়েছিলেন মৃত্যুদাবী টাকা তিনি পাবেন না।
এদিকে হাসানের মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ান। হাসানের বিমার কাগজপত্র নিয়ে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শুরু করেন। একপর্যায়ে হাসানের মৃত্যুদাবীর ৬ লাখ ৭৫ হাজার ও অর্জিত বোনাস ১০ হাজার ৫৩০ টাকা হাসানের স্ত্রী পারুলের হাতে বুঝিয়ে দেয় প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনে (আইডিআর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৬লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০ টাকার চেক পারুলের হাতে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের টাঙ্গাইল শাখা থেকে তাকাফুল এখলাছ পজেক্টের ইনচার্জ মো. টুটুল খান বুঝিয়ে দেন। এসময় টাঙ্গাইল শাখার তাকাফুল এখলাছের ভি.সি সাইফুল ইসলাম, বিএম ইসমাঈল হাওলাদার, একাউন্টিং অনন্ত সূত্রধর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পারুল বেগম জেলার বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের বাথুলীসাদী গ্রামের বাসিন্দা।
পারুল বেগম বলেন, ‘স্বামীকে হারিয়ে আমি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলাম। ভেবেই নিয়েছিলাম স্বামীর মৃত্যুদাবীর টাকা পাবো না। একপর্যায়ে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের টাঙ্গাইল শাখার তাকাফুল এখলাছ পজেক্টের ইনচার্জ টুটুল খানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। টুটুল খান প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। আমি আজ ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০ টাকার চেক পেয়েছি। আমি খুবই খুশি। চেকটি পেয়ে আমি আরও একটি বিমা করেছি।’ এই টাকা পেয়ে তিনি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের টাঙ্গাইল শাখার তাকাফুল এখলাছ পজেক্টের ইনচার্জ মো. টুটুল খান বলেন, ‘হাসান ২০১৭ সালে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অংকের বিমা করেন। যার বাৎসরিক কিস্তি ছিল ৫০ হাজার টাকা। তিনি দুইটি কিস্তি দেওয়ার পরই মারা যান। এরপর নিহত হাসানের স্ত্রী পারুল বেগম আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে যাচাই-বাছাই করে মৃত্যুদাবীর ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩০টাকার চেক আমারা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।’
বাসাইলসংবাদ/ ২৪ মার্চ , ২০২১ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন