বাসাইল সংবাদ : মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭:

॥ এনায়েত করিম বিজয় ॥
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে ঘুরে বেড়ানো, বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়া, প্রিয় খাবার খাওয়া। এতেই শিশু-কিশোরদের ঈদ আনন্দ পূর্ণতা পায়। তাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের আনন্দ উদযাপন করতে প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার অন্যতম একটি স্থান বাসুলিয়া(চাপড়া বিল) দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
এখানে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও (মঙ্গলবার) দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল । উপজেলায় বিশেষ কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসেবে এই বিলটিকে বেছে নিয়েছে এখানকার মানুষেরা।
বাসাইল থেকে সখীপুর সড়ক ধরে মাত্র তিন কিলোমিটার পার হলেই বাসুলিয়া। এখানে আছে বিশাল একটি বিল। যার নাম চাপড়া বিল। যাবার সময় হাতের ডান দিকে বিলের মাঝখানে রয়েছে একটি হিজল গাছ। অনেকের ধারণা গাছটির জন্ম এখানে নয়। সেই প্রাচীন যুগে গাছটি এসেছিল আসাম রাজ্য থেকে।
সড়ক ঘেসে পানির থৈ থৈ ও বিলের মাঝখানে গাছ, এমন মনোরম পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে তাই ছুটে এসেছে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো। এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা পরিচিত মুখগুলোর সাথে দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়ে যায় অনেকেরই । ফলে এই বাসুলিয়াতে আসা মানুষের ভিড় এক ধরণের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ঈদ ছাড়াও বর্ষা মৌসুমে প্রতি শুক্রবার প্রচুর দর্শনার্থীরা এসে ভিড় জমায়।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে এখানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে সড়কটির বাসাইল কবরস্থান থেকে বেড়বাড়ী পর্যন্ত যানজট দেখা যায়। যানজট নিরশনে কোন পুলিশকে দেখা যায়নি। যানজটের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার উপস্থিত হয় বাসুলিয়া। নির্বাহী অফিসারের উপস্থিত হয়েছে জেনে, কিছুক্ষণের মধ্যে বাসাইল থানা পুলিশও উপস্থিত হয় সেখানে। পরে কিছুক্ষণের মধ্যে যানজট নিরশন হয়।
আগতদের খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য বসে অস্থানীয় দোকান। এছাড়াও স্থায়ীভাবে রয়েছে কয়েকটি ফাস্ট ফুডের দোকান। বৃষ্টিও দমিয়ে রাখতে পারেনি দর্শনার্থীদের। অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজে এখানে ঘুরতে দেখা গেছে।
সড়ক ঘেসে সুন্দর্য বর্ধনের দাবী জানান দর্শনার্থীরা। উপজেলায় কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় এই বিলটিই বেছে নিয়েছে এখানকার মানুষেরা।
বাসাইল-সখীপুরের এমপি অনুপম শাহজাহান জয় এখানে দর্শনার্থীদের বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চের সু-ব্যবস্থা করেছেন। তিনি একটি মঞ্চেরও কাজ ধরেছেন, এখনো কাজ শেষ হয়নি।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার বলেন, উপজেলায় কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় বাসুলিয়াকেই বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে দর্শনার্থীরা। এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তিনি দর্শনার্থীদের সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বাসুলিয়া এলাকা ত্যাগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম খান বলেন, ঈদ উপলক্ষে দর্শনীয় স্থান বাসুলিয়ায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশি টহল থাকে। এছাড়াও প্রতিদিনই রাতে বাসুলিয়ায় পুলিশ টহল দেয়।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন