ডেস্ক : ‘মায়ের হাতের তৈরি খাবার, দুনিয়াতে শ্রেষ্ঠ সবার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের শিশুই আগামী জাতির কর্ণধার । এই কর্ণধারই আগামীতে জাতিকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা বির্ণিমানে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে । শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড । প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষা ভিত্তির প্রথম সোপান । এই সোপান যত শক্ত বা মজবুত হবে উপরের সিঁড়ি ততই জোরালো হবে । বর্তমান সরকারের অনেক ইতিবাচক সাফল্যের মধ্যে বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে বড় সাফল্য হলো মিড ডে মিলের উপর জোর প্রদান করা । সত্যি আমরা বিদ্যালয় পর্যায়ে এর গুরুত্ব ব্যাপক ভাবে লক্ষ্য করছি ।
বিশেষ করে উপস্হিতি বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, নিজেদের মাঝে অংশীদারিত্ব বা খাবার ভাগাভাগি করে খাবার খাওয়ার মনমানসিকতা তৈরি হচ্ছে । এতে করে নিজেদের মাঝে বন্ধুত্বের গভীরতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে । দুপুর পরবর্তী ক্লাস সময়ে পেট ভরা না থাকলে এই ক্ষুদে কোমলপ্রাণ কচিকাঁচারা বৃক্ষের পাতার ন্যায় টলে পড়ে বা ক্লাসে মনোযোগী কম থাকে বা মেজাজ তিরিক্ষি হয় । অপরদিকে পেট ভরা থাকলে সতেজ ও নির্মল অবস্থায় থাকে, মনোযোগ দৃষ্টি হয় ও নিজেদের মাঝে লেখাপড়ার স্পিড বজায় থাকে । ক্লাসের ঝিমুনি ভাব কেটে যায় ও Co- Curricular Activities এ প্রানবন্ত অংশগ্রহণ থাকে ।
আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে, নিজে নিজে খাবার খাওয়ার আগ্রহ ও উদ্দীপনাও সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে বাড়িতে বসে এর অনুশীলন হয় । আমাদের গ্রাম ভিত্তিক বিদ্যালয়গুলোতে ধনী -গরিব বৈষম্যের সূচকও কমে আসে মিড ডে মিল একত্রে খাবার জন্য , সবাই সবার সামনে খাওয়া বা অংশীদারিত্ব মিলে মিশে খাবার কারণে। বিশেষ করে অভিভাবক/ মা সমাবেশ, এস এম সি, সুশীল সমাজ, শিক্ষানুরাগী, জনপ্রতিনিধি, যুব সমাজ এমনকি শিক্ষকতদেরকেও মাধ্যমে জোর প্রদান করে মিড ডে মিলের গুরুত্ব আলোচনা করে যদি সারা বাংলায় এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে এর সুফল বয়ে আনবে ইতিবাচক মনোভাবের পরিবর্তন যা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের জন্য মাইলফলক অতিক্রম করবে বলে আমি বা আমরা দৃঢ়ভাবে মনোবল বা বিশ্বাস করছি… ইনশাআল্লাহ।।
-আজমীরা সুলতানা হ্যাপি
প্রধান শিক্ষক, বাসাইল দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসাইল, টাঙ্গাইল।
বাসাইলসংবাদ, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন