
নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে ফজলু মিয়া নামের এক শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে ফজলু মিয়াকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।

অভিযুক্ত ফজলু মিয়া (৪০) উপজেলার প্রতিমা বংকী তালুকদারপাড়া (পশ্চিমপাড়া) এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে। তিনি উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ঘটনার পর থেকে ফজলু মিয়া পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে মেয়েকে নিয়ে তার মা মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। পথে তাদের পরিচিত ফজলু মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। তখন ফজলু মিয়া বলেন, তিনি মেয়েকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেবেন। এরপর তিনি (শিশুটির মা) বাড়ি ফিরে যান। পরে মাদ্রাসার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগে ফজলু ওই মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশে বনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি মাদ্রাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করে হুজুরদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পরিবারকে ডেকে আনলে ওই ছাত্রী সবার সামনে ঘটনার বর্ণনা দেয়। এ ঘটনায় মেয়েটি অসস্থ হয়ে পড়েছে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) বলেন, ‘আমাদের সামনেই ওই শিশুশিক্ষার্থী নিজের মুখে শারীরিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। সত্য-মিথ্যা যা-ই হোক, এরচেয়ে বেশি কিছু আমরা জানি না।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার মা বাদী হয়ে মামলা করেছে। আমরা ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, সকাল থেকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. মতিন ও সদস্যসচিব বাবুল মিয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ‘দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজলু মিয়াকে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
বাসাইলসংবাদ, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন






