
নিজস্ব প্রতিবেদক : `বাসাইলে লাঙ্গুলিয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ; স্থানীয়দের উদ্বেগ, গুরুত্ব নেই প্রশাসনের’ শিরোনামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাসাইলসংবাদ-এ খবর প্রকাশের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম। গতকাল রবিবার (১১ মে) সংবাদ প্রকাশের পর আজ সোমবার (১২ মে) বিকেলে তিনি উপজেলার কাউলজানী পুরাতন বাজার এলাকায় বাঁধগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্থানীয়দের মতামত নিয়ে দুইটি বাঁধ ভেঙে দিয়ে নদীপথ সচল করে সেখানে ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। এছাড়াও ব্রিজ নির্মাণের আগ পর্যন্ত বাঁধের ভেতরে স্থানীয়দের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্তের ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাত্তাউর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, উপজেলা সার্ভেয়ার গোলাম মুর্শেদ খান, বাসাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম বিজয় প্রমুখ।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার কাউলজানি পুরাতন বাজার এলাকায় বংশাই নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া লাঙ্গুলিয়া নদীর উৎসমুখে নদীর দুপাড়ের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে তৎকালীন সংসদ সদস্য বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সেতুর পরিবর্তে বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করেন। পর্যর্ায়ক্রমে এর ভাঁটিতে আরও দুইটি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রথমে কাদের সিদ্দিকীর লোকজন মাছ চাষ শুরু করেন। এরপর ক্ষমতার পালা বদলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দখলে নিয়ে এক যুগের বেশি সময় ধরে মাছ চাষ করে আসছিল। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর এখন নতুন করে আরেকটি চক্র দখলের চেষ্টায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
বংশাই নদীর পানি লাঙ্গুলিয়া নদী হয়ে বাসাইল উত্তরপাড়ায় মরাগাঙ্গী নদী ও কাশিল পূর্বপাড়ায় ঝিনাই নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। বাঁধের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় ভাঁটি এলাকার অর্ধশত গ্রামের কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বোরো ধান, পাট, মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নৌ—পরিবহন বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা শিগগিরই বাঁধগুলো অপসারণ করে সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
বাসাইলসংবাদ, ১২ মে, ২০২৫ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন