বাসাইল সংবাদ: শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭:
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সে এখন অসহায়। জীর্ণ শরীরে দাঁড়িয়ে আছে আট বছর। কেউ তার খবর রাখে না । অযত্ন অবহেলায় তার সারা দেহে শুধু ময়লা। শরীরের প্রায় প্রতিট অঙ্গেই মরিচা দৃশমান। কোন কোন জায়গা থেকে নাট-স্ক্রু খসে পড়েছে। এটি যখন সচল ছিল তখন কত লোকজন তাকে সমীহ করত তার হিসেব নেই। লোকজন তাকে দেখে বলত- ‘এই বড় কর্তা আসছে’। তার গায়ে এখন নেম-প্লেটটিও নেই। এটি এখন নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাগুলো মাটিতে প্রায় ডেবে গেছে। একস্থানে ৮-৯ বছর দাঁড়িয়ে থাকায় সে এখন বড্ড ক্লান্ত। তার অসহায়ত্বের কারণে কুকুর-বিড়ালও তার গায়ে সময়-সুযোগ মতো পেশাব করে।
যার কথা বলা হচ্ছে- সে কোন মানুষ নয়। সে হচ্ছে বাসাইল উপজেলা কমপ্লেক্সের পশ্চিম উদ্যানে দাঁড়িয়ে থাকা পুরানো একটি জিপ গাড়ি। অনেকদিন থেকেই নীল রংয়ের এ জাতীয় জিপ গাড়ি উপজেলার বড় কর্তাসহ অন্যরা ব্যবহার করে আসছিলেন।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত গাড়িটি তৎকালীন ইউএনওগণ ব্যবহার করতেন। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পর গাড়িটি পরিষদের চেয়ারম্যানের হয়ে যায়। ইউএনও পেয়ে যান বর্তমানে ব্যবহৃত লাল-খয়েরি রংয়ের বিলাসবহুল গাড়ি। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বর্তমানে ব্যবহৃত সবুজ রংয়ের আধুনিক গাড়ির যাত্রী হন। তার পর থেকেই পুরানো মডেলের বহুল ব্যবহৃত নীল জিপ গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। লোকজন পার্শ্ব অতিক্রমকালে প্রায়ই বলাবলি করে সরকার কেন এটাকে উঠায়ে নেয় না? সরকারি জিনিস এভাবে নষ্ট হতে দেয়া ঠিক না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার বলেন, বাসাইলে আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন