
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন,আমরা স্পষ্ট বলেছি, যে আগামী নির্বাচনে এই পিআর পদ্ধতিতে হবে না। আমরা পিআর পদ্ধতি আগামী নির্বাচনের জন্য অবশ্যই বিশ্বাস করি না। কারণ এই পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে তৈরি করতে কয়েকটা নির্বাচন সময় লাগবে। বাংলাদেশের পদ্ধতিকে তৈরি করতে সময় লাগবে। আগামী সংসদ ছাড়া এই পিআর পদ্ধতি কিভাবে আমরা সংসদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করব। এটা তো রাজনৈতিক দলগুলোর বুঝতে হবে। বিশ্বের যে দেশগুলোতে পিআর আছে। প্রত্যেকটি দেশেই খুবই অল্প সংখ্যক দেশে আছে। যে দেশগুলোতে খুবই অস্তিত্বশীল অবস্থা বিরাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ পিআর বুঝে না।আমরা পিআর বুঝি না। বুধবার(১৫ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের নলগাইরা বাজারে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে নাগরিক সমাবেশে অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আহমেদ আযম খান বলেন, যারা পিআর সম্পর্কে ঐক্যমত পোষণ করছে, তারা জাতির স্বার্থে প্রতারণা করছে। কারণ একদিকে পিআরের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে। আরেক দিকে নমিনেশন দিয়ে আবার জনগণের কাছে ভোট চাওয়া শুরু করে। তাহলে কোনটা তাদের সত্যি। সত্যি হলো তাদের প্রতারণা জাতির সাথে।কাজেই স্পষ্ট বলতে চাই, এই প্রতারণা বাদ দিয়ে জাতির কাছে আসুন। জাতির সামনে নিজেদের আদর্শ ও উদ্দেশ্য তুলে ধরুন। জাতি যদি ভোট দেয়, তাহলে আপনারা সংসদে বসবেন। সামনের নির্বাচনে পিআরকে নিয়ে আন্দোলন করে লাভ হবে না। কারণ জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো পিআরের জন্য প্রস্তুত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশের সর্বোত্তম রাজনৈতিক দল। এখানে একটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এই একাধিক প্রার্থীই ধানের শীষে ভোট চাইছে। আমি যেমন নিশ্চিত বলতে পারি, ইনশাআল্লাহ আমি ধানের শীষের প্রার্থী। কিন্তু অন্য যারা নমিনেশনের চিন্তা করছে, তারা কিন্তু ধানের শীষে ভোট চাইছে। কাজেই একাধিক প্রার্থী থাকলেও দলের কোন ক্ষতি হবে না। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
আহমেদ আযম খান বলেন, যারা নমিনেশন চাইবেন সকলকেই স্বাগতম। কিন্তু যখনি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। আমি বিশ্বাস করি,যে সকল প্রার্থী নমিনেশন চাইছিলেন। তারা তো বিএনপি ও ধানের শীষের নামেই চাইছিলেন। আমি অনুরোধ করব, তাদের সকলকেই অবশেষে বিএনপির নির্বাচনী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য।কেউ যদি তা না হয়,সে দায় তাকেই নিতে হবে। তবে দল কোন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সাগরের শতশত ঝিনুক দিয়ে সাগর থেকে পানি তুললেও সাগরের পানি ফুরায় না।বিএনপি সাগরের মতো বড় একটি রাজনৈতিক দল।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবিএম মাসুদুল আলম বিপ্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আল মামুন, সাবেক চেয়ারম্যান মামুন অর রশীদ খান প্রমুখ।
বাসাইলসংবাদ, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ /একেবি
সকলের অবগতির জন্য নিউজটি শেয়ার করুন






