বাসাইল সংবাদ: রোববার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭:
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিধবা রহিমা বেগম খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রহিমার পুত্রবধূর বড় ভাই রোকন (২০)।
শনিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মুন্সী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে পুলিশ রোকনকে গ্রেপ্তার করে। রোকন বাসাইল উপজেলার তিরঞ্চ গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
গত ১২ জানুয়ারি উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের সাটিয়াচড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম নিজ বাড়ি থেকে রহস্যজনভাবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১১ দিন পর ২৩ জানুয়ারি রহিমা বেগমের অর্ধগলিত লাশ বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রমতে, দুই বছর আগে বিধবা রহিমা বেগমের ছেলে ওয়াসিমের সঙ্গে রোকনের বোন কোকিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি রহিমা বেগম কোকিলার ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকেন বলে জানা যায়। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কোকিলা শাশুড়ি রহিমা বেগমকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
গত ১২ জানুয়ারি বাড়িতে অন্যরা না থাকার সুযোগে কোকিলা মোবাইল ফোনে তার ভাই রোকনকে শ্বশুড় বাড়িতে আসতে বলেন। রোকন তার বড় ভাই রোজবেলকে নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বোনের বাড়িতে আসেন। রাত ১১টার দিকে দুই ভাই ও বোন মিলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শাশুড়ি রহিমা বেগমকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পরে লাশ বাড়ির পায়খানার সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে রাখে বলে পুলিশ জানায়।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জাপুর থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে রোকনকে কালিহাতি উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার রোকনকে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মরিরুজ্জামান মুন্সী বলেন, জবানবন্দি শেষে রোকনকে টাঙ্গাইল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুত্র- ঢাকাটাইমস
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন