বাসাইলসংবাদ: মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯:
নিউজ ডেস্ক : বরগুনায় আলোচিত
রিফাত শরীফ
হত্যা মামলায়
প্রধান সাক্ষী
থেকে আসামি
বনে যাওয়া
তারই স্ত্রী
আয়শা আক্তার
মিন্নিকে কেন
জামিন দেওয়া
হবে না
তা জানতে
চেয়ে রুল
জারি করেছে
হাইকোর্ট। মিন্নির জামিন প্রশ্নে করা
আবেদনের ওপর
শুনানি নিয়ে
মঙ্গলবার বিচারপতি
এম ইনায়েতুর
রহিম ও
বিচারপতি মো.
মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারের
প্রতি এক
সপ্তাহের এ
রুল জারি
করেন।
রুলের পাশাপাশি
এ মামলার
যাবতীয় নথিসহ
মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তাকে (আইও) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৮
আগস্ট তাকে
আদালতে হাজির
হতে হবে।
একই সঙ্গে
মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের
বিষয়ে বরগুনার
পুলিশ সুপার
মারুফ হোসেনকে
এই সময়ের
মধ্যে ব্যাখ্যা
দিতে নির্দেশ
দিয়েছে আদালত।
২৮ আগস্ট
এ বিষয়ে
পরবর্তী শুনানি
হবে।
আদালতে মিন্নির জামিনের পক্ষে শুনানিতে
ছিলেন জ্যেষ্ঠ
আইনজীবী জেড
আই (জহিরুল
ইসলাম) খান
পান্না ও
সুপ্রিম কোর্ট
আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এ
এম আমিন
উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে
জামিনের বিরোধিতা
করেন ডেপুটি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন
বাপ্পি।
বরগুনা পুলিশ লাইনে মিন্নিকে নেওয়া,
গ্রেপ্তার দেখানো, রিমান্ডে নেয়া ও
তার স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দির বিষয়ে ওই জেলার পুলিশ
সুপার কখন
সংবাদ সম্মেলনের
করেছিলেন সে
বিষয়ে সোমবার
শুনানির সময়
বিস্তারিত তথ্য জান চান হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার জেড
আই খান
পান্না এ
সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দেন।
জামিন পেতে
গত ১৮
আগস্ট হাইকোর্টের
এই বেঞ্চে
আইনজীবীদের মাধ্যমে আবেদন করেন আয়শা
আক্তার মিন্নি।
এর আগে
গত ৮
আগস্ট বিচারপতি
শেখ মো.
জাকির হোসেনের
নেতৃত্বে গঠিত
হাইকোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ মিন্নির
জামিন প্রশ্নে
কোন আদেশ
না দিয়ে
রুল দিতে
চাইলে আবেদনটি
ফিরিয়ে নেন
তার আইনজীবী
জেড আই
খান পান্না।
নিম্ন আদালতে
দু দফা
জামিনের আবেদন
না-মঞ্জুর
হওয়ার পর
গত ৫
আগস্ট প্রথম
দফায় হাইকোর্টে
আইনজীবীর মাধ্যমে
জামিনের আবেদন
করেন মিন্নি।
গত ২১
জুলাই বরগুনার
সিনিয়র জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নির জামিনের আবেদন
না-মঞ্জুর
হয়। এরপর
৩০ জুলাই
বরগুনার জেলা
ও দায়রা
জজ আদালতেও
তার জামিনের
আবেদনে সাড়া
দেয়নি আদালত।
২৬ জুন
বরগুনা সরকারি
কলেজের সামনে
প্রকাশ্যে ও স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা
মিন্নির সামনে
রিফাত শরীফ
খুন হওয়ার
পরদিন ১২
জনকে আসামি
করে মামলা
করা হয়।
এরই মধ্যে
এ হত্যার
মূল পরিকল্পনাকারী
সাব্বির আহমেদ
ওরফে নয়ন
বন্ড পুলিশের
সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে
নিহত হন।
রিফাত শরীফের
বাবা আব্দুল
হালিম দুলাল
শরীফ অভিযোগ
করেন মিন্নির
সঙ্গে নয়ন
বন্ডের সম্পর্ক
ছিল এবং
তাদের বিয়েও
হয়েছিল।
গত ১৬
জুলাই সকালে
মিন্নিকে বরগুনার
পুলিশ সুপারের
কার্যালয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায়
রিফাত শরীফ
হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতায় প্রাথমিক প্রমাণ
পাওয়ার কথা
জানিয়ে মিন্নিকে
গ্রেপ্তারের কথা জানায় বরগুনা পুলিশ
সুপার মারুফ
হোসেন।
রিমান্ডে নেওয়ার পর ১৯ জুলাই
শুক্রবার পুলিশ
সুপার জানান,
রিফাত হত্যার
সংশ্লিষ্টতায় মিন্নি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪
ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে, মিন্নির বাবা
মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেন জবরদস্তি
ও তড়িঘড়ি
করে মিন্নির
কাছ থেকে
জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
বাসাইলসংবাদ/একেবি