বাসাইল সংবাদ : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭:
॥ মাহমুদুল হাসান ॥
বাসাইল উপজেলার মধ্যে সুন্না অন্যতম বড় গ্রাম। উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সুন্না গ্রামটি প্রাথমিকভাবে ৫ টি বৃহত্তর পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত। যেমন সুন্না পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম, উত্তর ও মধ্য পাড়া। পূর্ব পশ্চিম, দক্ষিণ, ও মধ্য পাড়ায় আলাদা ভাবেই উত্তর পাড়ার চেয়ে বেশিরভাগ লোকজন বসবাস করে। তবে সুন্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, আলিম মাদরাসা, হাট- বাজার, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঈদগাহ্ মাঠ সবই সুন্না উত্তর পাড়ায় অবস্থিত।
যে কারণে পর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ ও মধ্যপাড়ার লোকজনকে প্রত্যহ উত্তর পাড়ায় যেতে হয়। সুন্না গ্রামের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে প্রশস্থ বিশাল জলাশয় উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে। এর একটি মাথা মহেশখালি হয়ে নয়ার খালিতে গিয়ে মিশেছে। যার উপর বাসাইল সুন্না ভায়া কলিয়া রোডের সুন্না ছেওয়ের খালের উপর ব্রিজ কয়েক দফা প্রক্রিয়ায় ব্রিজ নির্মিত হওয়ার আপাতত সুন্না পশ্চিম অংশের লোকজন সহজ যাতায়াত সুবিধা পেয়েছে। জলাশয়ের অন্য মাথাটি পূর্ব দিকে বেকে বংশাই নদীর সাথে মিশে গেছে। এ মাথাটি সুন্না গোপি বাড়ির (হাটিপাড়ার) খাল বলা হয়ে থাকে।
ফলে সুন্না গ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটবাজার থেকে সুন্না পূর্ব দক্ষিণ ও মধ্যপাড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন। সুন্না পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য পাড়ার সাথে উত্তর পাড়ায় সংযোগ স্থাপনে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গ্রামীণ সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে গোপি বাড়ি খালের উপর ৬০ফুট দীর্ঘ ১৪ ফুট প্রস্থ একটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪লাখ ৪ হার ৬শ ৫০ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অদিদপ্তর কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এ ব্রিজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম। এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণে সুন্না গোপি বাড়ি খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ হতে চলায় এলাকাবাসি সন্তুষ্ট।
জানা যায়, ইতোমধ্যে ব্রিজটির প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। তবে সুন্নাসহ এ এলাকার বেশির ভাগ লোকজনের মধ্যে সংশ্রয় সৃষ্টি হয়েছে যে ব্রিজ যদি পরিকল্পনা ভিত্তিক উচু না হয় তাহলে এ ব্রিজে জনগণের উপকারের পাশাপাশি সমস্যার আশংকাও রয়েছে। সুন্না হাটিবাড়ীর খালটি বর্ষাকালে বেশ খরস্রোত। এ খাল দিয়ে বংশাই নদী থেকে পানি প্রবেশের সাথে এ গ্রামে এ বর্ষা শুরু হয়, আবার এর মাধ্যমেরই গ্রামের পানি নদীতে চলে গেলে শুকনো মৌসুম শুরু হয়ে থাকে।
বর্ষাকালে এ খাল দিয়ে সুন্না গিলাবাড়ি, কলিয়া দাড়িয়াপুর কাঙ্গালীছেওসহ আশে পাশের গ্রামের শতশত ছোটবড় নৌকা, স্যালো ইঞ্জিল নদীতে প্রবেশ ও বাহির হয়। ইদানিং বর্ষাকালীন সময়ে পর্যটন স্পট বাসুলিয়ার যাতায়াতরত একাধিক উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইঞ্জিন চালিত নৌ-যান এ একটি মাত্র খাল দিয়ে যাতায়াত করে। তাই গোপি বাড়ির খালকে সুন্নাসহ বাসাইল উপজেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার বলা যেতে পারে। সে কারণে পরিমাণ মতো উচু না হলে এ খাল দিয়ে সকল নৌ-যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে নৌ-চলাচল সুবিধা হারাবে এলাকাবাসি। ব্রিজটি উচু করে নির্মাণ করার জোর দাবি জানান এলাকাবাসি।
এ খাল দিয়ে যাতায়াতকারি ইঞ্জিন চালিত নৌকা মালিক নুরু মিয়া বলেন, যে ভাবে ব্রিজ হচ্ছে তাকে এ খালে বড় নৌকা পারপার সমস্যা হবে। সুন্না আব্বাসিয়া হাই স্কুলের শিক্ষিকা আমেনা খানম বলেন, প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে হলেও এটি উচুঁ করা উচিত। তবে তাদের আশংকাকে সঠিক নয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
এ ব্যাপাবে উপজেলা দূযোর্গ ব্যস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি স্পটে গিয়ে এলাকাবাসি শংকা যাচাই করে পরবর্তীতে কিছু করা যায় কিনা দেখব।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন