বাসাইল সংবাদ: রোববার, ২৮ মে, ২০১৭:
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের অন্যতম কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদ। এর আয়তন প্রায় ২১ বর্গকিলোমিটার। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী এ ইউনিয়নের লোকসংখ্যার পরিমাণ সাড়ে ২১ হাজার। ১৯৬২ সালে তৎকালিন এসডিও’র ডিজাইন অনুযায়ি কাউলজানীর বোর্ড বাজারে এর তিন রুম বিশিষ্ট টিনসেড ঘর স্থাপিত হয়। যাতে রয়েছে পরিষদের মূল কক্ষ, উদ্যোক্তার ছোট কক্ষ যা প্রায় সব সময় লোকারণ্য থাকে। ইউপি সচিবের জন্য একটি কক্ষ আছে। তবে বিচার কার্য পরিচালনা ও মেম্বারদের বসা কোন আলাদা কক্ষ নেই। ফলে চেয়ারম্যান-মেম্বার এক কক্ষে গাদাগাদি বসে র্কায পরিচালনা করেন ।
একজন মেম্বার বলেন, আদালত চলা কালে আগতদের জায়গার অভাবে বসতে দেয়াও সম্ভব হয় না । সরকারি ভিজিডি গুদামটি ব্যবহারে প্রায় অযোগ্য। পরিষদের মূল ঘরের পাশের বিএস কোয়াটারটি ব্যবহার করা যায়না বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ হলে তাতে চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব উদ্যোক্তা প্রত্যেকই আলাদা করে কক্ষ পেতেন। পাশাপাশি বিচার র্কাযের জন্য একটি আদালত কক্ষ, সভা কক্ষ, চেয়ারম্যানের বিশ্রাম কক্ষ, নিকাহ রেজিস্টার, উপজেলা সমাজ সেবা ও প্রাণী সম্পদ অফিসের জন্য একটি করে কক্ষের ব্যবস্থা হত। কমপ্লেক্স না হওয়ায় পরিষদ এ সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । কক্ষ সংকটের কারণে সম্প্রতি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্তেও পরিষদ কার্যালয়ে ওয়াইফাই সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে তা অনত্র সংযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার অন্য পাঁচটি ইউনিয়নের ইতোমধ্যে কমপ্লেক্স ভবন তৈরী হয়েছে। মূলত জায়গা জটিলতার কারণেই দীর্ঘদিন পরেও কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব হয়নি। পরিষদ চত্বরটি ২৫শতাংশ ভূমির উপর অবস্থিত বলে জানা যায়। চেয়ারম্যান- মেম্বারগণ জানান, দলিল মূলে পরিষদের নাম ৩২ শতাংশ ভূমি রয়েছে। তবে এর রেকডীয় জমির পরিমান ২২ শতাংশ। তাদের অভিযোগ পাশ্ববতী জহুরুল হক গং ইউনিয়ন পরিষদ নামিয় অবশিষ্ট ভূমি জবর দখল করে রাখায় তা সর্বশেষ জরিপে রের্কডে আসেনি।
ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী হবি বলেন, পরিষদ চত্বরে প্রয়োজনীয় ২৫ শতাংশ জায়গা থাকলেও এখানে কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা না করায় ইউনিয়নবাসির মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে, তারা একাধিকবার র্যালী মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ইউনিয়নবাসির প্রাণের দাবি- দ্রুত কমপ্লেক্স নির্মানের ব্যবস্থা করা হউক।
ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল প্রসঙ্গে জহুরুল হক গংয়ের জাহাঙ্গীর হোসেন চান বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় অবস্থিত জায়গাটি তাদের দাবি করে বলেন, জায়গা সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে, তা সেখানেই মিমাংসা হবে।
কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার বলেন, ভবন না থাকায় পরিষদ কার্যক্রমে নানাবিধ অসুবিধা হচ্ছে, জায়গা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হলে খুব দ্রুত তা নির্মাণ সম্ভব বলে আশা করি।
বাসাইল সংবাদ/একে
সকলের অবগতির জন্য অনুগ্রহ পূর্বক নিউজটি শেয়ার করুন