নিউজ ডেস্ক : প্রথমবারের মতো কলকাতার ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। প্রদীপ্ত ভট্টচার্য্য পরিচালিত ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে টলিউডে অভিষেক হলো তার।
এ ছবিতে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর বিপরীতে দেখা যাবে জ্যোতিকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ২০ তারিখ ওপার বাংলায় মুক্তি পাবে ছবিটি। ছবিটি মুক্তি উপলক্ষে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
সম্প্রতি কলকাতার একটি প্রভাবশালী দৈনিক ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিটি নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জ্যোতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টলিউড প্রফেশনাল, ঢালিউড ইমোশনাল’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জ্যোতি আমার সংবাদকে বলেন, ‘ওরা কাটায় কাটায় সময় মেনে চলে। ৮টায় মিটিং থাকলে সবাই ঠিক ৮টার আগেই চলে আসত। পরে কেউ আসত না। আর শুটিংয়ের সময় পুরো টিম থাকতো। ওখানে কস্টিউম, মেকআপ, হেয়ারের দায়িত্বে আলাদা লোক আছে।
কিন্তু আমাদের এখানে এগুলো শিল্পীকেই ভাবতে হয়। ওরা শিফট মেনে শুটিং করে। সাড়ে ১০টায় শিফট শেষ হলে ঠিক সাড়ে ১০টায় ক্যামেরা ক্লোজ। একটু বেশি গেলেই নতুন শিফট কাউন্ট হবে ফলে পরিচালক সাড়ে ১০টার মধ্যেই ক্যামেরা ক্লোজ করে। আর আমাদের এখানে যদি বলা হয়— আরও পাঁচটা দৃশ্য বাকি আছে একটু করে দেন।
তখন
আমাদের টেকনিশিয়ান, আর্টিস্ট থেকে শুরু করে সবাই কিন্তু করে দেয়। অনেক সময় রাত ১১টা থেকে বাড়তি কাজ করতে করতে ৩টা বেজে যায়। তারপর আবার সেই সকালে কল। এই বাড়তি পরিশ্রমের জন্য কিন্তু টেকনিয়ান বা শিল্পীরা আলাদা কোনো পেমেন্ট পাচ্ছে না।
কারণ
আমাদের পরিচালকের বাজেট সীমিত। শুধু ভালোবাসার কারণেই কাজটি করে দিচ্ছে। ইমোশন থেকেই করে দিচ্ছে। এই বিষয়গুলোতে টলিউড আমাদের থেকে অনেক প্রফেশনাল।’
জানতে চাইলে এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কলকাতায় কাজ করার সময়ও অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল— দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কী পার্থক্য। আমি এগুলোই বলেছি। কলকাতার ওরা অনেক প্রফেশনাল। ইমোশন দিয়ে কিন্তু সব কিছু হয় না। প্রফেশনাল জায়গায় প্রফেশনাল হওয়া জরুরি।’
বাংলাদেশে মেধাবী লোক আছে কিন্তু তাদের পরিচর্চা করার কেউ নেই উল্লেখ করে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আমাদের মেধা আছে কিন্তু নার্সিং নেই। কলকাতায় মেধাবীদের নার্সিং করার লোক আছে।
প্রোডাকশন ডিরেক্টরিয়াল বাদ দিলে বাংলাদেশে টিমের সব সেক্টর যেমন টেকনিক্যাল ক্রু, শিল্পী, মেকআপ আর্টিস্ট সবাই অনেক মেধাবী। আর মেধাবী বলেই এত সমস্যা, এত অনিয়মের মধ্য দিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’