অনলাইন ডেস্ক : ছেলেবেলা কাটিয়ে হঠাৎই পা পড়ে বয়ঃসন্ধিকালে। এ সময় ছেলে মেয়েদের মাঝে দেখা যায় শারীরিক পরিবর্তন। অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করে। আবার উদাসীনতার কারণে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া হয় না অনেকের। জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শরীরের যত্ন নেওয়াটা খুব জরুরি।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের খাবারে পরিবর্তন আসে। কিছুদিন আগেও যে খাবার ছাড়া তাদের চলত না, এখন সেসব খাবার দু’চোখে দেখতে পারে না।
এ সময় ছেলেমেয়েদের মধ্যে সময়মতো খাবার না খাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে। ঘরের খাবারের চেয়ে বাইরের খাবারের প্রতি তাদের বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এ সময় ছেলে-মেয়েদের খাবার দাবারের প্রতি অভিভাবকদের অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
এই সময়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পড়লে সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। তাই তাদের পছন্দের খাবারকে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর করে বাড়িতেই তৈরি করে দিতে হবে।
সন্তানদের যতটা সম্ভব সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল, সামুদ্রিক মাছ, দুধ ও ডিম খাওয়াতে হবে। অনেক ছেলেমেয়ে দুধ, ডিম খেতে চায় না। তাদেরকে সরাসরি দুধ ও ডিম না দিয়ে দুধ-ডিমের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ানো যেতে পারে। যেমন– দই, সেমাই, পুডিং প্রভৃতি।
এ ছাড়া শক্তি বৃদ্ধিতে হরলিক্স জাতীয় খাবার খেতে দিতে পারেন। নিয়ম করে প্রতিদিন সেদ্ধ ডিম, সামুদ্রিক মাছ খাওয়াতে পারলে ভালো হয়। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের উচিত তাদের সঙ্গ দেওয়া। তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সহজ করে দেওয়া। এতে মনের ভার যেমন কমবে, তেমনি নিজের প্রতিও যত্নশীল হবে।
…বাসাইলসংবাদ/২৮ ফেব্রুয়ারি/একেবি
প্রয়োজনে নিউজটি শেয়ার করুন