বাসাইলসংবাদ: রবিবার , ২৪ মার্চ, ২০১৯:
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের বাসাইলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মতিয়ার রহমান গাউসের সমর্থক ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী কাজী অলিদ ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অনন্ত ১০জন আহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া বটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর জনসভা চলছিলো। এসময় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হাজী মতিয়ার রহমান গাউস সমর্থিত বানিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনকর্মী ওই এলাকায় আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে গিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন রনিকে মারধর করে। খবর পেয়ে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌকা সমর্থিত বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। এসময় নৌকা সমর্থিতরা একত্রিত হলে আনারস সমর্থকরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নৌকা সমর্থিতরা।
কাজী অলিদ সমর্থিত উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, নৌকা মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক বানিজুর রহমানসহ প্রায় ১৫ নেতাকর্মী এসে আমাদের আনারস প্রতীকের অফিস ভাংচুর করে। এসময় তারা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক হোসেন রনিসহ ৫জনকে মারধর করে। পরে তারা সাদেক হোসেন রনিকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায়। খবরটি তাৎক্ষণিক শুনে আনারস সমর্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী এসে রনিকে খোঁজতে থাকেন। এসময় নৌকা ও আনারস প্রতীকের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
তিনি আরও বলেন, নৌকা সমর্থিতরা অফিসসহ আমাদের ১১টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। এসময় আমাদের সমর্থিত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন তারা ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে সাদেক হোসেন রনি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ছবি: আনারস সমর্থিত ফারুকের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুরের একাংশ
তিনি আরও বলেন, এঘটনার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে আনারস সমর্থক কলিয়া ছয়আনী পাড়ার ফারুক আহমেদ ও তার চাচা মকবুল হোসেনের বাড়িতে নৌকা সমর্থকরা হামলা চালায়। এসময় তাদের চারটি ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করা হয়।
নৌকা প্রার্থীর সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ মিয়া বলেন, কাজী অলিদ সমর্থিত আনারস প্রতীকের কর্মি সুজন খানশুর ও রাসেল খানশুরের নেতৃত্বে ২০-২৫জন ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলিয়া বটতলায় অবস্থিত নৌকা মার্কার অফিসে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ ৫জন কর্মি মারাত্মকভাবে আহত হই। এসময় এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে ১০-১২টি মোটরসাইকেল রেখে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে উত্তেজিত কর্মীরা মোটরসাইকেলগুলো ভাংচুর করেছে। মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম তুহীন আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাংচুরকৃত ৮টি মোটরসাইকেল থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এধরণের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে কাউকে কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সরাসরি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিরমূলক ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।
বাসাইলসংবাদ/একেবি