নিউজ ডেস্ক : অফিস থেকে ফেরার পথে ক্যাফেতে চা পান করতে নেমেছিলেন নাথালি টুফেনকজি। গরম পানিতে টি–ব্যাগ চুবিয়ে চুমুক নিতেই তার মনে হলো–এই টি–ব্যাগগুলো ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি পরীক্ষা করতে নিয়ে গেলেন টি–ব্যাগটি। আর তার পর দেখা গেল ওই টি–ব্যাগে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা রয়েছে। কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক বিভাগের
অধ্যাপক টুফেনকজি। তিনি তার ছাত্র লারা হার্নান্দেজকে স্থানীয় দোকান থেকে কিছু টি–ব্যাগ কিনে তার ল্যাবে নিয়ে আসতে বলেন। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই টি–ব্যাগগুলো থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করছিল। তবে ওই টি–ব্যাগগুলো কাগজের তৈরি ছিল না। ওগুলো ছিল প্লাস্টিকের তৈরি। এ কারণে গরম পানিতে এর ক্ষুদ্র কণা মিশে যায়।
টুফেনকজি ও তার ছাত্র হার্নান্দেজ এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সহ–গবেষকরা ফুটন্ত পানিতে চার ধরনের প্লাস্টিকের টি–ব্যাগ ডুবিয়ে পরীক্ষা করেন। এবং দেখতে পান যে একটি ব্যাগই ১১ বিলিয়ন মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ৩ বিলিয়ন ন্যানোপ্লাস্টিক কণা ছড়াচ্ছে। গবেষকরা একটি বৈদ্যুতিন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে দেখতে পান এটি।
তাদের এ গবেষণা প্রতিবেদন গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি জার্নাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত হয়। বেশ কিছু দোকানে কাগজের টি–ব্যাগের পরিবর্তে প্লাস্টিকের টি–ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তাই তাদের পরামর্শ, দোকান থেকে টি–ব্যাগ কেনার আগে যাচাই করে নিতে হবে সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি না কাগজের তৈরি।
বাসাইলসংবাদ/একেবি